নিজস্ব প্রতিবেদক | বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | প্রিন্ট
টি-টোয়েন্টিতে প্রথম সেঞ্চুরি করে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ২২৩ রানের বড় সংগ্রহ এনে দেন সুনীল নারিন। অপরদিকে রাজস্থান রয়্যালস পাল্টা জবাব দিলো ওপেনার জস বাটলারের ব্যাটের ঝড়ে। নিজেরাই নিজেদের রেকর্ডে ভাগ বসালো রাজস্থান। ২০২০ সালে শারজায় তৎকালীন কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিপক্ষে ২২৪ রানের লক্ষ্যে নেমে জিতেছিল রাজস্থান।
এদিন নারিন বড় জুটি বলতে আংক্রিশ রাঘুবংশীর সঙ্গে ৮৫ রানের জুটি গড়েন। ৫৬ বলে ১৩ চার ও ৬ ছয়ে ১০৯ রানে ইনিংসের ১৮তম ওভারে ট্রেন্ট বোল্টের শিকার হন নারিন। তারপর সর্বোচ্চ ৩০ রান করেন রাঘুবংশী। তৃতীয় সবচেয়ে বেশি ২১ রান আসে এক্সট্রা খাত থেকে।
বড় লক্ষ্যে নেমে রাজস্থানের প্রথম ১১ বলে ২২ রান তুলে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। ১৯ রান করে বৈভব অরোরার শিকার হন যশস্বী জয়সওয়াল। হার্ষিত রানা সাঞ্জু স্যামসনকে (১২) ফিরিয়ে দেন। ১৩তম ওভারে ১২১ রানে ৬ উইকেট পড়ে তাদের।
ক্রিজে নামেন রভম্যান পাওয়েল। ১৪ ওভারে রাজস্থানের স্কোর ৬ উইকেটে ১২৮ রান। শেষ ৩৬ বলে ৯৬ রান দরকার। বাটলার খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এলেন। সঙ্গে আগ্রাসী পাওয়েল। দুজনের ব্যাটে পরের দুই ওভারে ৩৪ রান করে রাজস্থান। পাওয়েল ১৭তম ওভারে ১৩ বলে ২৬ রান করে নারিনের শিকার হন তিনি।
বোল্ট ব্যাটিংয়ে নেমে বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি। বাটলার স্ট্রাইকের জন্য মরিয়া থাকায় দ্বিতীয় রান নিতে গেলে নিউজিল্যান্ড ব্যাটার রানআউট হন। তাতে ভালো হয়েছে। ১৮তম ওভারে ১৮ রান এনে দেন বাটলার।
পরের ওভারে ইংলিশ ব্যাটারের চার-ছক্কার বৃষ্টিতে ১৯ রান যোগ হয়। তাতে শেষ ওভারে লক্ষ্য দাঁড়ায় মাত্র ৯ রানে। স্লো ওভার রেটিংয়ের অপরাধে শেষ ওভারে কলকাতার ফিল্ডিংয়ে পাঁচজনের বদলে ৩০ গজ বৃত্তের বাইরে ছিলেন চারজন।
সুযোগের সদ্ব্যবহার করেন বাটলার। বরুণের প্রথম বলে ছক্কা মেরে ৫৫ বলে সেঞ্চুরির দেখা পান তিনি। পরের তিন বলে ডট হলে চাপে পড়েছিল রাজস্থান। পঞ্চম বলে দুটি রান নিয়ে স্কোরে সমতা আনেন বাটলার। শেষ বলে সিঙ্গেল নিয়ে ইডেন গার্ডেন্সে স্বাগতিকদের হতাশায় ভাসান তিনি। ৮ উইকেটে ২২৪ রান করে রাজস্থান। ৬০ বলে ৯ চার ও ৬ ছয়ে ১০৭ রানে অপরাজিত থাকেন ম্যাচসেরা বাটলার।
৭ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে রাজস্থান। এক ম্যাচ কম খেলে ৮ পয়েন্টে দ্বিতীয় কলকাতা।
Posted ১:৫৬ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪
ajkerograbani.com | Salah Uddin